বুধবার, ৫ মে, ২০১০
কৃষি ভুর্তুকি
সরকার এ বছর সার এবং ডিজেলের উপর কৃষকদের কৃষি কার্ডের মাধ্যমে ভুর্তুকির টাকা প্রদান করে । এ ভুর্তুকির টাকার পরিমান ৮০০ ও ১০০০ টাকা । বিগত সরকারের আমলে ইউরিয়া সার ছিল কেজি ৬টাকা এবং টিএসপি ছিল ১৬টাকা । বর্তমান সরকারের আমলে ইউরিয়া সার কেজি ১২টাকা এবং টিএসপি ৩৫টাকা । তাই বর্তমানে একজন কৃষককে প্রতি কেজি সারে আতীতের চেয়ে ২৫টাকা বেশী মূল্য দিতে হচ্ছে । যদি একজন ক্ষুদ্র কৃষক ১ একর জমি চাষ করে তবে তাকে সারের জন্য পূর্বের চেয়ে ২৫০০ টাকা বেশী খরচ করতে হচ্ছে । ডিজেলের দামের কথা বাদই দিলাম । তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ কৃষকদের ভুর্তুকির টাকা দিয়ে সস্তা বাহবা না কুড়িয়ে সার ও ডিজেলর উপর ভুর্তুকি প্রদান করুন, যাতে কৃষক পূর্ব মূল্যে সার ও ডিজেল কিনতে পারে । তাহলেই কৃষক প্রকত উপকৃত হবে ।
মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০১০
গ্রামের মানুষ বনাম এনজিও
এক সময় এদেশে ইরান থেকে আসতো কাবলিওয়ালা । তারা গ্রামের মানুষের কাছে বাকীতে পন্য বিক্রি করে এক বছর পর এসে সুদ সহ সে টাকা নিয়ে যেত । তার পর আরও ছিল মহাজনী কারবার । ঘর বাড়ি বন্ধক রেখে মহাজনের কাছ থেকে ঋন নিত গ্রামের দরিদ্র কৃষকেরা । ঋনের দায়ে আনেককেই হারাতে হত ঘর বাড়ি । এরা যুগ যুগ ধরে এদেশের গ্রামের গরীব কৃষকদের শোষন করেছে । এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও গ্রামের এই দরিদ্র কৃষকেরা শোষনের হাত থেকে মুক্তি পায় নাই । বর্তমানে দারিদ্র বিমোচনের নামে প্রচীন ও মধ্যযুগের কাবলিওয়ালা এবং মহাজনদের মত গ্রামের এই দরিদ্র কৃষকদেরকে শোষন করছে অসংখ্য এনজিও । গ্রামের শতকরা ৮০ ভাগ লোক এদের কাছে ঋন গ্রস্থ । দারিদ্র বিমোচনের পরিবর্তে এরা দিন দিন আরও দরি্দ্র হচ্ছে । ঋনের দায়ে আত্যহত্যার মত ঘটনাও ঘটছে অহরহ । এর থেকে গ্রামের মানুষের পরিত্রান প্রয়োজন ।
সোমবার, ৩ মে, ২০১০
ধান কাটা ও মাড়াই

জমিতে ধান পাকলে বা ধান শুকিয়ে গেলে ধান কাটতে দেরী করা ঠিক নয় । এতে কিছু ধান ঝরে পড়তে পারে এবং শীষ কাটা লেদা পোকার আক্রমন ও পশু পাখি ক্ষতি করতে পারে । শীষের অগ্র ভাগের ৮০ ভাগ ধান শক্ত ও সচ্ছ এবং নিচের ২০ ভাগ আংশিক শক্ত ও সচ্ছ হলেই বুঝতে হবে ধান পেকেছে । ধান মাড়াই করার জন্য
শক্ত ও শুকনো জায়গা বেছে নিতে হবে ।
ধান ও চালের মূল্য
সরকার এ বছর ধানের মূল্য নির্ধারন করেছে মণ ৬৮০ টাকা আর চালের মূল্য মণ ১০০০ টাকা। এক মণ ধানে সর্বোচ্চ ২৬ কেজি পর্যন্ত চাউল পাওয়া যায় । সরকারী হিসাবে যারমূল্য ৬৫০ টাকা । ৬৮০ টাকায় ধান কিনে কেউ কী ৬৫০ টাকার চাউল বিক্রি করবে ? যার প্রেক্ষিতে কৃষক ৬৮০ টাকায় ধান বিক্রি করতে পারছেনা । কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা । যার ফলে কৃষক দিন দিন ফসল উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । তাই ধানের সাথে চাউলের সম্পর্ক রেখে মূল্য নির্ধরন করা জরুরী ।
ফারমার নিউজ বিডি
ফারমার নিউজ বিডি তে সবাইকে স্বাগতম । এ সাইটে আপনারা দেখতে পাবেন বাংলাদেশের কৃষকদের ভিবিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)
